পর্যটন শিল্পে জোয়ারের হাতছানি
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি/সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি’। কবির এই গানের মতোই নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বাংলাদেশ। নদীমাতৃক দেশের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য; যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে টানে; দৃষ্টিকে হাতছানি দেয়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, বিস্তৃত হাওরাঞ্চল, বিশাল পার্বত্যাঞ্চল, মহাস্থানগড়, কুয়াকাটায় লালকাকড়ার সমুদ্র সৈকত এবং পাহাড়পুরের হাজার বছরের প্রাচীন প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে বাংলাদেশে, যা একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষকে আকর্ষণ করবে। বাংলাদেশিদের জন্য হিন্দুত্ববাদী ভারত ভিসা সাময়িক বন্ধ করে দেয়ায় পর্যটন শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছে। প্রয়োজন শুধু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, সিংগাপুরের মতো পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যা ডলার বিদেশে চলে যাওয়াই শুধু বন্ধ হবে না; পাশাপাশি বাংলাদেশও ট্যুরিজমেও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে হঠাৎ করে ভারতের গরু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মুসলমানদের গরুর গোশতের সংকটে ফেলা। মোদীর সেই অপকর্মে সাময়িক সংকটে ফেললেও ঘটনাটি ‘শাপে বর’ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন গরুর গোশতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দিল্লির ‘নাচের পুতুল শেখ হাসিনা’ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশী দেশ ভারত গোস্সা করেছে বাংলাদেশের উপর। বলা যায়, প্রতিশোধপরায়ন হয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে। অতঃপর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। ভারত ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য এবং ভ্রমণের লক্ষ্যে ভারতে যাওয়া কমে গেছে। এতে কলকাতার হোটেল ব্যবসায়ী এবং হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিকরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তবে হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের দরজা খুলে গেছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশিদের ভারতে ঘুরতে যাওয়া কমে গেলে দেশের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। দেশের বিপুল সংখ্যক ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভারতের বদলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটক এলাকায় ঘুরতে যাবেন। প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন।
পর্যটন শিল্পে কাজ করেন এমন অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারত ছাড়াও মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, নেপাল, সিংগাপুর ভ্রমণ করেন। ওই সব দেশ ভ্রমণেও লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট প্রকট। দেশের টুরিস্ট স্পটগুলোর সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং টুরিস্ট স্পটগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে কম খরচে দেশের ভ্রমণপিপাসুরা দেশের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের অভিমত ভারত গরু বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে গরু প্রতিপালনে মনোযোগী হন। এতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়। ভারতের ভিসা বন্ধ হওয়ার পর দেশের টুরিস্ট স্পটগুলো সংস্কার এবং সরকারি ভাবে ভ্রমণপিপাসুদের নিজ দেশের পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যেতে উদ্বুদ্ধ করলে বিদেশে ভ্রমণে যাওয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে ঘুরতে আগ্রহী হবেন।
এক সময় বাংলাদেশে পর্যটন বলতে শুধু কক্সবাজারকে বুঝি। এখন আর সে অবস্থা নেই। সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা, সিলেট, হবিগঞ্জ, পার্বত্য তিন জেলাসহ দেশের শতাধিক নয়নাভিরাম টুরিস্ট স্পট গড়ে উঠেছে। ঢাকার আশপাশে মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ জেলায় অর্ধশত টুরিস্ট স্পট গড়ে উঠেছে। এমনকি পদ্মা নদী, যমুনা নদীর তীরেও কয়েকটি পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায়। এসব পর্যটন স্পটের অবকাঠামো উন্নয়ন, যাতায়াত-থাকা-খাওয়ার সহজলভ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে হাজার হাজার পর্যটক দেশের টুরিস্ট স্পটে ভিড় করবেন।
ট্যুরিজমের সঙ্গে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ জড়িত। ট্যুরিজম একটা বিশাল বড় শিল্প। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বাইরে নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্প অনেক শক্তিশালী। থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ ট্যুরিজমে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। ওইসব দেশে সারা বছরই পশ্চিমা পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। অথচ বাংলাদেশ উদীয়মান শিল্পের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন শিল্প। এ শিল্পটি কাজে লাগিয়ে দেশের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। তবে ট্যুরিজমের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের অনেক করণীয়।
কক্সবাজার থেকে শামসুল হক শারেক জানান, কক্সবাজারের হোটেল মোটেল, রাস্তা-ঘাটে এখন পর্যটক আর পর্যটক, কোথাও তিল ধারনের ঠাঁই নেই। শীতকালীন অবকাশ, বড় দিনের ছুটি মিলিয়ে পর্যটন শহরে এখন অবস্থান করছে ৫ লক্ষাধিক পর্যটক। শত শত পর্যটক কক্ষ না পেয়ে বালিয়াড়ির ছাতায়, রাস্তা-ঘাটে এবং গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন এমন খবরও রয়েছে। অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে নিরাপদ চক কষে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এ অসাধারণ চিত্র। ঈদের ছুটি, পুজার ছুটি, বড়দিনের ছুটি, থার্টিফাস্ট ও প্রবারণা উৎসবের ছুটিতে সব ধর্ম-বর্ণের লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসলেও এখানে অটুট থাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ সময় মনে হয় এটিই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
এদিকে ডিম্বরের টানা ছুটিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কক্সবাজারের হোটেল জোন, সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রসমূহে। রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ চোখে ঘুম ছিল না পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তারা এখন ব্যস্ত ক্ষতি পুষাতে। আগে থেকেই নানান প্রস্তুতি সেরে রাখেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কয়েকটি সরকারি ছুটি মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি প্রায় ১১ দিন। গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত সপ্তাহ থেকে পর্যটন শহরে ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকড হওয়াতে যারা বুকিং না দিয়ে এসেছেন তাদের অধিকাংশ পড়েছেন ভোগান্তিতে। বন্ধের সময়টা কাজে লাগাতে ভ্রমণে এতসংখ্যক পর্যটক আগে চোখে পড়েনি। ভারতের প্রতি অনিহা ও পার্বত্য চট্টগ্রমের কিছু স্পটে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সবার লক্ষ্য এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সাথে ইনানী, হিমছড়ি ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন।
আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক সমাগম সমান থাকবে বলে মনে করেন, হোটল সাউথ বীচের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন। ইতোমধ্যে পুরো ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০-৯৮ শতাংশ হোটেল রুম বুকিং হয়েছে আগেই। দীর্ঘদিন মন্দা যাওয়া পর্যটন ব্যবসায় সতেজতা এনেছে ডিসেম্বরের ছুটি। জানুয়ারীতেও কক্সবাজার আসতে আগাম বুকিং দিয়েছেন অনেক ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের ছুটিতে তারা এখন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন করেছে। ঝিমিয়ে পড়া প্রায় পর্যটনে সতেজতা ফেরার কারণে সংশ্লিষ্টরা খুবই খুশি।
টুয়াকের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিল্কি বলেন, কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস রয়েছে প্রায় পাঁচশত। এসব আবাসনে দৈনিক প্রায় ৩ লাখ পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে চাপ বেড়েছে হোটেলগুলো। হোটেল সী-নাইটের ব্যবস্থাপক শফিক ফরাজী বলেন, টানা বন্ধে অতীতেও প্রায় প্রতিটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান কম-বেশি পর্যটক বুকিং দিয়ে এসেছেন। গত বৃহস্পতিবার হতে চারদিনের ছুটিতেও তেমনটি হচ্ছে। টানা ছুটি কাজে লাগানোর কারণে কলাতলির সবক’টি হোটেল এখন ভরপুর। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আন্দোলনের সময় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে টুরিস্ট পুলিশের সাথে তাদের কথা হয়েছে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশও মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন যানজট এড়াতে। হোটেল টাইড ওয়াটারের ব্যবস্থাপক আনোয়ার শিকদার বলেন, কক্সবাজারকে নিয়ে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আয় করে, সেভাবে কিন্তু পর্যটনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নেই, কক্সবাজার নিয়ে প্রচারণা নেই। এরপরও দীর্ঘ সৈকত, হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন ও সাফারি পার্কসহ জেলায় কিছু পর্যটন স্পট থাকায় লোকজন আসেন। তাঁর মতে, ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য আরো সুযোগ তৈরি করা দরকার। সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা পর্যটন ব্যবসাকে আরো চাঙ্গা করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আসা শাহীনুল ইসলাম ও রিজিয়া আক্তার দম্পতি জানান, এবার আমরা রুম বুকিং দিয়ে এসেছি। অতিতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেখান থেকে সচেতন হয়ে এসেছি বলে রুম ভাড়া তেমন একটা পড়েনি। এখানে এসে রুম ভাড়া করলে দাম বেশি পড়ে এবং অনেক কষ্টে রুম যোগাড় করতে হয়। কক্সবাজারের প্রশাসন খুবই আন্তরিক এবং পরিকল্পনা করে মাঠে রয়েছে আমরা বুঝেছি।
এদিকে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি আবুল কালাম বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে নিরাপত্তার চাদরে আমরা ঢেকে রেখেছি শুধুমাত্র পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য। আমাদের চিহ্নিত বিশেষ জায়গাগুলোতে আমরা টহলদারি নজরদারী এবং সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রেখেছি। পর্যটকদের সহযোগিতা করতে টুরিস্ট পুলিশ সদা সর্বদা পাশে আছে। বিশেষ এলাকার মধ্যে কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্ট, ইনানী বিচ, পাটোয়ারটেক, কাকড়া বিচ, টেকনাফ বিচ পর্যন্ত পুলিশরা সর্বদা নিয়োজিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নামানো হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে অবস্থান ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো সৈকত নজরদারির আওতায় আছে। থাকবে যৌথ টহল, প্রশাসনের মোবাইল টিম, পেট্রোলিং রয়েছে টিমগুলো।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, টুরিস্টদের ভ্রমণ নির্বিঘœ করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক টিম নামানো হয়েছে। সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আমরা দিকনির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি, পর্যটকরা কক্সবাজারকে ভিন্নরূপে উপভোগ করবে নিরাপত্তায়, বিনা সংকোচে। তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া এবং খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের টিম। কক্সবাজারে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
সিলেট থেকে ফয়সাল আমীন জানান, একদিকে বড়দিনের ছুটি অপরদিকে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পর্যটকদের সিলেটমুখীতার কারণে স্থানীয় হোটেল মোটেল রুম পাওয়া এখন অনেকটা অসাধ্য। বিশেষ করে পর্যটকদের ভিড় এখন কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে। পাহাড় পানি এবং পাথরের মিতালী দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসেন পর্যটকরা। এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরের ভেতর এবং বাইরের মানুষ ভিড় জমান পর্যটকরা। জাফলং, বিভিন্ন চা বাগানসহ হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারেও পর্যটকদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। অপরদিকে, বড়দিনসহ কয়েক দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে বুকিং হয়ে গেছে সব হোটেল মোটেল। প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। হোটেল-মোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে রাত কাটিয়েছেন আকাশের নিচে কিংবা পরিচিতদের বাড়িতে।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে সিলেটের সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করেন পর্যটকরা। তবে সাপ্তাহিক ও বড়দিন উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির কারণে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে প্রকৃতি কন্যা খ্যাত সিলেটে। সবকটি দর্শনীয়স্থানে ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। টানা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক পেয়ে খুশি সিলেটের হোটেল-মোটেল রিসোর্ট মালিকসহ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য। হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্ট হাউসগুলোতে উঠতে পারছেন না ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে সড়ক-মহাসড়কে যানজট, অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া এবং অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে ভ্রমণপিপাসুদের। এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সাদা পাথরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে ধলাই নদীর শীতল পানির স্পর্শ নিতে এসেছেন পর্যটকরা। আবহাওয়া ও মৌসুম বদলের সাথে সাথে পাল্টে গেছে সাদা পাথরের রূপ ও চিত্র।
পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা সাধারণত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, মায়াবী ঝরনা, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাই, লালাখাল ও চা-বাগান যান। এছাড়া সিলেটের বিভিন্ন পাহাড়, ঝরনা, শাহজালাল (রহ.) এবং শাহপরান (রহ.) মাজারে আসেন। বছরের সব সময়ই সিলেটে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। তবে ঈদ বা ছুটির দিনগুলোয় পর্যটকদের ভিড় জমে। এ সময় অন্যান্য জেলার ছাড়াও স্থানীয় পর্যটকেরাও সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় ঘুরে বেড়ান। চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা ফাহিম সারওয়ার আজাদ বলেন, সাদা পাথর এলাকায় এসে আমি পুরো মুগ্ধ। এত সুন্দর প্রকৃতি এর আগে আমি কোনো দিন দেখিনি। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে ভারত থেকে বয়ে আসা ধলাই নদীর পানির শীতল স্পর্শ আমি আবার নিতে আসবো। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে না থাকলেও কেন্দ্রগুলোর বাইরে আমাদের পুলিশের টহল সব সময় আছে। কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
রাঙামাটি থেকে শাহ আলম জানান, চলছে পর্যটন মৌসুম। তাই বর্তমানে পর্যটকে সরগরম রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বড়দিনের ছুটিতে প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক পর্যটক সাজেকসহ রাঙামাটিতে এসেছে বলে ধারণা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। বড়দিন উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই মেঘ কন্যা খ্যাত সাজেকসহ রাঙামাটি জেলার ঝুলন্ত ব্রিজ, রাজবনবিহার, সুবলং ঝর্ণা, পলওয়ে পার্ক, আরণ্যকসহ বিভিন্ন বিনোদন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এছাড়া কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা সুবলংয়ের উদ্দেশে নৌবিহারও করেছে। ঢাকার আরামবাগ থেকে আগত আফাজ মাহমুদ ও সেলিনা মাহমুদ নামের এক পর্যটক দম্পতি জানান, মন যেন চায় বারে বারে রাঙামাটির পাহাড় লেক দেখতে আসি। ১২ মাস এই পাহাড় হ্রদে থাকে বিভিন্ন রূপ। শীতকালের প্রকৃতিটা আরো লোভনীয়।
কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের তথ্য মতে, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। রেস্তোরাঁ আছে ১৪টির বেশি। সবগুলোতেই পর্যটকদের ভিড়। কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা বলেন, আজকে বড়দিন উপলক্ষে সাজেক পর্যটকে ভরপুর। সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন। তিন হাজারের অধিক পর্যটকের সমাগম হয়েছে সাজেকে।
পর্যটন কমপ্লেক্সের রাঙামাটি জেলার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আশানুরূপ পর্যটক এসেছে রাঙামাটিতে। বড়দিনের ছুটি, ভরা পর্যটক মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুতে ৪ হাজার পর্যটক এসেছে। এছাড়া আগামী সাপ্তাহিক ছুটিতে মোটেলের ৯০ ভাগ বুকিং আছে। এই মাসে প্রতিদিনই ভালো পর্যটক আসছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘পর্যটকদের রাঙামাটিতে নিরাপদে ভ্রমণের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আলাদা পর্যটন সেল রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তারা সব প্রকার নিরাপত্তাসহ পর্যটক হয়রানি রোধে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
খুলনা থেকে আসাফুর রহমান কাজল জানান, শীতকাল মানেই ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য বিশেষ সময়। আর এই বছরের শীতকালে পর্যটন ব্যবসায় যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে সরকার ঘোষিত ছুটির সঙ্গে মাঝখানের একদিন ছুটি নিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন বহু মানুষ। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসতে ছুটে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। খুলনা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ এর অন্যতম প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
নতুন সংযুক্ত পদ্মা সেতু হয়ে খুলনার সঙ্গে ঢাকার রেল সংযোগ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে খুলনায় আসা এখন অনেক সহজ এবং আরামদায়ক। ফলে সুন্দরবন ভ্রমণের প্রতি আগ্রহী পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুলনার বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ী শীতকালীন এই ভ্রমণ মৌসুমে নানা ধরনের প্যাকেজ ছাড় ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। সুন্দরবনের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের কাছে বিভিন্ন নৌপথে ভ্রমণের সুযোগ, জাহাজে রাত্রিযাপন ও গাইডসহকারে বনের বিভিন্ন অংশ দেখার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্যাকেজের আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় পর্যটকদের আরো উৎসাহিত করছে।
সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়েও প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় পর্যটকরা নিরাপদে বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। একই সাথে, স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ফলে পরিবার নিয়ে পর্যটকরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারছেন। এই পর্যটন মৌসুমের উত্তাপে খুলনার স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। হোটেল, রিসোর্ট, নৌযান এবং স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই রয়েছে। এর ফলে স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আর্থিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসার এই উত্থান টেকসই রাখতে হলে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পর্যটন কার্যক্রমে পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করলেই এ ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুন্দরবনে যেতে বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন হয়। নিজ ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হওয়ায় ট্যুর অপারেটরদের সহযোগিতা নেয় মানুষ। এই ট্যুর অপারেটরদের বিভিন্ন রকম প্যাকেজ থাকে। তিন দিন-দুই রাতের প্যাকেজটিই বেশি জনপ্রিয়। বন বিভাগ সুন্দরবনের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেয় না। আর কিছু জায়গায় যেতে প্রয়োজন হয় বিশেষ অনুমতির। ফলে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কটকা বীচ, দুবলার চর, হিরণ পয়েন্টে, জামতলা, মান্দারবাড়িয়া যায় বেশি মানুষ।
সুন্দরবন ট্যুরিজম এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ এনামুল হক জানান, ভাল মন্দের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। সারা বছর তেমন কোন ট্যুর থাকে না। কিন্তু খরচ থাকে। ফলে আমরা তাকিয়ে থাকি শীত মৌসুমের দিকে। আশা করছি, এবার আমাদের আশানুরূপ ব্যবসা হবে। খুলনা ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, পর্যটকদের ভ্রমণকে সুগম করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ সুন্দরবনের মধ্যে যে সব এলাকায় ঘুরতে যায়। ওইসব এলাকায় আমাদের সদস্যরা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চ বা জাহাজে আমাদের সদস্যরা ভ্রমণের সময় যেয়ে থাকে। সুন্দরবন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, আমাদের স্কট সবসময় ট্যুরিস্টদের সাথে থাকে। আমরা সুন্দরবনকে রক্ষা করে ভ্রমণকারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ, সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করি। আমরা কিছু নির্দেশনাও দিয়ে থাকে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে এ. এম. মিজানুর রহমান বুলেট জানান, সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটক ভিড়। একদিকে বড়দিন আবার আরেকদিকে সাপ্তাহিক শুক্র-শনি দুই দিন ছুটিতে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নেচে-গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউবা ঘুরছেন ঘোড়ায়। সৈকতে বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে, বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ। এভাবে পর্যটকের আগমন থাকলে পিছনের লোকসান কাঠিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে টুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বেঞ্চিব্যবসায়ী শহিদুল জানান, এই তিনদিনের সরকারি ছুটি মাঝখানে বৃহস্পতিবারও আটো ছুটি হয়ে গেছে। এ ছুটিকে কেন্দ্র করে আজই কুয়াকাটায় ভালো পর্যটক আসছে। এ চারদিনে প্রচুর পর্যটক আসবে। সাউদবিচের সত্ত্বাধিকারী মো: সোহেল আহম্মেদ বলেন, এ চারদিনের বন্ধে আমার হোটেলের প্রায় রুম বুকিং রয়েছে। এ পর্যটন মৌমুমে এভাবে পর্যটক আসলে পিছনের লোকসান কাটিয়ে ওঠা যাবে। রয়েল প্যারাডাইচের পরিচালক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, এখন কুয়াকাটায় দিনদিন পর্যটক বাড়ছে। পর্যটকের আগমনে মনে হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মুসলিম জাগরণের অগ্রপথিক মুন্সী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ আজ জন্মদিন
গত সাড়ে ১৫ বছর যারা শাসন করেছে, তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: আমীরে জামায়াত
রাজস্থানে ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি ৭০০ ফুট গর্তে আটকে থাকা শিশু
জকিগঞ্জে বালাউটি ছাহেবের ঈসালে সাওয়াব মাহফিলে ভক্ত-মুরিদানের ঢল
‘অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা এই কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে’
বিমান হামলায় গাজায় একসঙ্গে ৫ সাংবাদিককে হত্যা
বান্দরবানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো নির্মাণের নির্দেশ
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে উপদেষ্টারা
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরায়েলের
ফায়ার ফাইটার নয়নের জানাজা বাদ জোহর, অংশ নেবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সচিবালয়ের আগুন লাগা ভবনেই উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফের মন্ত্রণালয়
সচিবালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
চাঁদপুরে দুই উপজেলার মধ্যবর্তী সেতু ভেঙ্গে পড়েছে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাস মালিককে কুপিয়ে হত্যা
মোজাম্বিকে কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় নিহত ৩৩, দেড় হাজার বন্দির পলায়ন
কেনাকাটার সময় আমরা সাধারণত যে ভুলগুলো করি
মিরপুরে সাংবাদিকদের ২১ বিঘা জমি এখনও ইলিয়াস মোল্লাহর দখলে!
রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মিলন গ্রেপ্তার
ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, গাজায় নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার
সচিবালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ, নিরাপত্তা জোরদার